ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সেখানে ডিবিএলের কারখানা এলাকায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় আটকা পড়েছেন ১০৪ জন শ্রমিক।
“তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা জাতিসংঘ মিশন, ইথিওপিয়ার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। যেহেতু সংঘাতের কারণে সেখানে এখন উৎপাদনের কাজ বন্ধ রয়েছে তাই তাদেরকে কীভাবে দ্রুত সরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি।”
ওই পোশাক কারখানায় বাংলাদেশি ও ইথিওপিয়ানসহ প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। ইথিওপিয়ান শ্রমিকরা নিজ নিজ আবাসস্থল থেকে কারখানায় এসে কাজ করলেও বাংলাদেশিরা ছিলেন ওই কারখানার কম্পাউন্ডের ভেতরেই। সংঘাত শুরুর পর তাদেরকে পাশে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ডিবিএল কর্তৃপক্ষ।
গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, তিগ্রাই অঞ্চলের একটি আঞ্চলিক বিদ্রোহী দল টিগারি পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সেনাক্যাম্পে হামলা চালালে পরিস্থিতির অবনতি হয়। সেখানে যে কোনো মুহূর্তে নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে।
ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক ফেইসবুক বার্তায় বলা হয়, “যুদ্ধাক্রান্ত তিগ্রাই অঞ্চলের আঞ্চলিক রাজধানী মেকেলে থেকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, সেখানে থাকা বাংলাদেশিরা এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ডিবিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে নিরাপত্তা ঝুঁকির পাশাপাশি শ্রমিকদের খাদ্যের মজুদ কমে যাচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
২০১৮ সালে ইথিওপিয়ায় কারখানা স্থাপন করে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিবিএল গ্রুপ।