বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভ্যাট গোয়েন্দাদের একটি দল গুলশান এক নম্বর সেকশনের হোটেলটিতে অভিযান চালায়।
ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দি মিরাজে অভিযান চালানো হয় বলে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।
সীসা উদ্ধারের কথা তিনি জানালে এ্ বিষয়ে প্রশ্নে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযানের এক পর্যায়ে হোটেলটির সীসা বারেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রতিটি ১ কেজি ওজনের ১৫টি অবৈধ সীসার প্যাকেট পাওয়া যায়।”
প্রাচীনকালের হুঁকার আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে সীসা, যা ঢাকার বিভিন্ন বারে দেখা যায়। এতে নানা মাদক মিশিয়ে তার নির্যাস নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তবে এটি মাদকের তালিকায় না থাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও ঢাকার সীসাবারগুলো নিয়ে বিভ্রাটে পড়েন।
মইনুল খান বলেন, “দি মিরাজ হোটেল এই সীসার বৈধ কোনো কাগজপত্র বা উৎস এবং বৈধভাবে ক্রয়ের কোনো চালান দেখাতে পারেনি।”
হোটেলটির ভ্যাট আদায় সংক্রান্ত কাগজ পত্র ও কম্পিউটারে সংরক্ষিত প্রকৃত বিক্রয় তথ্য ও স্থাপনার ভাড়া এবং মাসিক ভ্যাট রিটার্নের ‘ব্যাপক গরমিল’ পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
মইনুল বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই অভিযান থেকে পাওয়া দলিলাদি বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হতে পারে।
“ভ্যাট ফাঁকি ও অবৈধ সীসা রাখার জন্য একটি মামলাই করা হবে। পরবর্তীতে তা ন্যায় নির্ণয়ের জন্য ঢাকা উত্তর কমিশনারেটের কাছে পাঠানো হবে।”