মহামারীতে বিক্রি কমেছে মিল্ক ভিটার

নতুন করোনাভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন-মিল্ক ভিটার বিক্রি কমেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 05:14 PM
Updated : 29 Oct 2020, 05:14 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে মিল্ক ভিটার প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এতথ্য জানানো হয়।

বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থ বছরে ২৮৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে মিল্ক ভিটা। এটি আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা কম।

গত অর্থ বছরের মাঝামাঝিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অর্থ বছরের শেষ তিন মাস দেশ অবরুদ্ধ অবস্থায় কেটেছিল।

মিল্কভিটা বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে কারণে গত মার্চ মাস থেকে তাদের শীতল খাবার বিক্রি কম হয়েছে।

সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর চান বণিক।

তিনি বলেন, “গত অর্থ বছরে বিক্রয় কম হয়েছে। তবে বাজারে মিল্ক ভিটা পণ্যের চাহিদা অনেক।”

চলতি ২০২০–২১ অর্থবছরে ৪৫০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান অমর।

সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান বক্তব্য রাখেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, দেশে দুগ্ধ উৎপাদন বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। উৎপাদন, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে এটিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।

“আপনারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। আমাদের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আছেন, আমি আছি, আমরা এ ব্যাপারে সাহায্য করার চেষ্টা করব।”

সভাপতির বক্তব্যে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন জানান, মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে সংগৃহীত দুধের দাম দেওয়া শুরু করে ৩৭ টাকা থেকে। কিন্তু এই দামে দুধ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

“আমরা মান ভেদে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা পর্যন্ত দাম দিই। কিন্তু খোলা বাজারে দুধের দাম এর থেকেও বেশি। প্রতি লিটার দুধের উৎপাদন খরচও আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই খামারিদের পক্ষে মিল্ক ভিটাকে দুধ দেওয়া সম্ভব হয় না। এসব জটিলতা নিরসনে দুগ্ধ নীতিমালা হওয়া দরকার।” 

সভায় মিল্ক ভিটার গত অর্থবছরের সংশোধিত এবং চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে মুনাফা ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০১৭–১৮ অর্থবছরে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

এই মুনাফার ওপর ভিত্তি করে সরকারি ইক্যুইটি ও সমিতির শেয়ারের উপর আড়াই শতাংশ হারে লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিল্ক ভিটা।

গত অর্থবছরে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬২২ লিটার দুধ সরবরাহ করে মিল্ক ভিটার সেরা সমিতি হয়েছে সাতক্ষীরার তালা। শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হয়েছে খুলনার শাহাপুরের সুবীর কুমার ঘোষ। এই সমবায়ী সরবরাহ করেছেন ৬ লাখ ৯ হাজার ৭৫৩ লিটার দুধ।