রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা এই ঘোষণা দেন।
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ নয় দফা দাবিতে সারাদেশে ১২ ও ১৩ অক্টোবর পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা।
তুরাগ নদীর তীরে দারুস সালাম থানার অধীন হরিরামপুর মৌজায় নদীর জায়গায় বালি ভরাট ও বর্জ্য ফেলে ভরাট করে ট্রাক স্ট্যান্ড তৈরি করে ট্রাক মালিকরা। বিআইডব্লিউটিএ একাধিকবার তা উচ্ছেদও করে। উচ্ছেদের পর তা আবারও দখল হয়ে যায়।
গত ২৬ আগস্ট অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে মালামাল নিলামে তোলা হয়। এ উচ্ছেদের প্রতিবাদে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা এ ধর্মঘটের ঘোষণা করেছিল। সঙ্গে আরও আটটি দাবিও যোগ করেছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা হয়।
“এ দীর্ঘ আলোচনা শেষে ওই সংগঠনের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা দেন।”
তাজুল ইসলাম বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সভার সভাপতি মহোদয়ের মাধ্যমে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ১৫ দিন সময় নিয়েছেন। আমরা ১৫ দিনের জন্য সারাদেশে ধর্মঘট স্থগিত করলাম।
“১৫ দিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়, আমাদের শাজাহান ভাই আছেন- তাদের বলে যেই সিদ্ধান্ত ভালো হয় সেভাবে...আমরা কর্মসূচি স্থগিত করলাম।”
তিনি বলেন, “সারাদেশে সবাইকে গাড়ি চালানোর জন্য আহ্বান জানাই। আমাদের যে দাবিগুলো ছিল, ২০১৮ সালের আইন নিয়ে দীর্ঘ সময় আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে খুশি।”
নো-পার্কিং এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আপাতত মামলা হবে না বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছাড়াও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।