এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে রোববার ভ্যাট আইনে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তরের উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে একদল ভ্যাট গোয়েন্দা মিমি সুপার মার্কেট পরিদর্শন ও জরিপ করে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, জরিপে দেখা গেছে, ২৬৩টি দোকানের মধ্যে ২০৩টির কোনো নিবন্ধন নেই। তারা ভ্যাটও দেয় না। এভাবেই তারা বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছে।
ভ্যাট গোয়েন্দারা বলছেন, এসব দোকান পণ্য বিক্রির সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে ভ্যাট নিলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় না। স্থানীয় ভ্যাট অফিসে কোনো দাখিলপত্রও তারা দিত ন। আইন ভঙ্গ করে তারা ব্যবসা করে আসছিল।
ওই শপিংমলের যে ৬০টি দোকান আইন অনুযায়ী নিবন্ধন নিয়েছে, তারাও অনেকে প্রকৃত বিক্রি অনুযায়ী রিটার্ন ও ভ্যাট পরিশোধ করছে না বলে উঠে এসেছে অধিদপ্তরের জরিপে।
এর মধ্যে মাত্র ১০টি দোকানে নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট সনদ ঝোলনো অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাকি ৫০টি নিবন্ধিত দোকানে দৃশ্যমান স্থানে ভ্যাট সনদ পাওয়া যায়নি।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক, যাতে ক্রেতা বুঝতে পারেন তিনি সঠিক স্থানে ভ্যাট দিচ্ছেন।
অনিবন্ধিত ২০৩টি দোকানের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করার পাশাপাশি নিবন্ধিত যে ৫০টি দোকান নিবন্ধন সনদ ঝুলিয়ে রাখেনি, তাদের বিরুদ্ধেও ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
“কেউ সরকারি নির্দেশনা মেনে কর দেবেন, আবার তার পাশে আরেকজন কর না দিয়েও একই ব্যবসা করবেন, তাহলে যিনি কর দিচ্ছেন তিনি নিরুৎসাহিতহ হবেন। তাই ব্যবসায়ীরা যেন সরকারি কোষাগারে কর জমা দেন, সে বিষয়ে তাদের উৎসাহ দিতে আমরা এরকম আরও জরিপ ও অভিযান চালাব।”
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, চট্টগ্রামের বড় বড় শপিংমলের দোকানগুলোর মধ্যে ৭৮ শতাংশই ভ্যাট দেয় না বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। দেশের অন্যান্য মার্কেট ও খুচরা পর্যায়ের চিত্রও একই রকম বলে ভ্যাট গোয়েন্দার ধারণা।