সিটিটিসির ‘বোম ডেটা সেন্টার’ তৈরিতে সহযোগী ‘নগদ’

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ‘বোম ডেটা সেন্টার’ তৈরির উদ্যোগের সহযোগী হিসাবে যুক্ত হয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর এই ডেটা সেন্টারে বোমা বিষয়ে দেশ ও বিদেশের পুলিশ বা অনুমোদিত ব্যক্তিরা কারিগরি প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘নগদ’ এই কার্যক্রমে আর্থিক সহযোগী হিসাবে যুক্ত হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সিটিটিসির এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার করা বোমা, সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা দেশীয় বোমা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের বোমার সংগ্রহ থাকবে। যার মাধ্যমে পুলিশ থেকে শুরু করে দেশের কিংবা বিদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন, যা পরবর্তীতে পেশাগত মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি রাজধানীতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে এক অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ক একটি স্মারক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে সিটিটিসি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের হাতে স্মারকটি হস্তান্তর করেন ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম এবং ‘নগদ’-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক।

সিটিটিসি’র প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করে। বোমা নিয়ে যেন জানাশোনা আরও বাড়ানো যায়, সে কারণে এই ডেটা সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘নগদ’ সব সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে পুলিশের পাশে ছিল। এটি সেই প্রতিশ্রুতিরই অংশ। সামনের দিনেও ‘নগদ’ এমন কার্যক্রমে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে।