প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য ওই চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ভুটানকে ১৮টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিচ্ছে। আর বাংলাদেশের ৯০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে।
ভুটান আরও কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে ‘দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
২০১৯ সালের ১২-১৫ এপ্রিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় এ নিয়ে আলোচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ২১-২৩ অগাস্ট বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক হয়। এরপর গত ১৯ জুন হয় দ্বিতীয় বৈঠক।
সেসব সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বাণিজ্য চুক্তির খসড়া তৈরি করে সোমবার উপস্থাপন করা হলে মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দেয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
প্রতি বছরের ৮ অগাস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে সরকার। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দিবসটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রে ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর জন্মবার্ষিকী’ উদযাপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। আর তথ্য মন্ত্রণালয় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করতে পারবে।