এই ঋণের অর্থে এর মধ্যে সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত ১২ হাজার ক্ষুদ্র দুগ্ধচাষীর কাছ থেকে কাঁচা দুধ সংগ্রহ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি উপার্জন হারানোর আশঙ্কায় থাকা আরও ১২ হাজার কৃষককে এই শৃঙ্খলে যুক্ত করা হবে।
এডিবির কৃষি ব্যবসা শাখার বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ তুষনা দোড়া এক বিবৃতিতে বলেন, কৃষি খাতের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে কোভিড -১৯। এর ফলে খাদ্যের অপচয়, চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে শ্রমিক সংকটে ফসল ঘরে তোলায় বাধা সৃষ্টি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিলম্ব ঘটে।
পিডিএলের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা উজমা চৌধুরী বলেন, ভোক্তার সঙ্গে চাষীদের সংযোগকারী এই সরবরাহ শৃঙ্খল মহামারীর কারণে নানাভাবে ব্যাহত হয়েছে। এডিবির সময়োপযোগী সহায়তা সরবরাহ শৃঙ্খলের বাধা দূর করে চাষী ও ভোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করে স্থানীয় কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির শক্তি যোগাবে।
গ্রাহকদের কাছে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পিডিএলের পর্যাপ্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা রয়েছে। এডিবির এই ঋণ মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় বাড়তি সহায়তা হিসেবে জরুরি পরিচালন মূলধন যোগাবে।
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের (পিআরএএন) সদস্য পিডিএল। এটি দুধ ও দুধজাত পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করে। এটি দেশের দুগ্ধ খাতের তিনটি বৃহত্তম কোম্পানির অন্যতম।