‘করোনাকালের’ আয় থেকে ডাক বিভাগকে সোয়া কোটি টাকা দিল নগদ  

দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর ছয় মাসে মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক রাখতে ডিজিটাল লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে ওঠা ‘নগদ’ তাদের সেবায় নতুনত্ব এনেছে, ক্যাশ-আউটে গ্রাহকদের খরচে ছাড়ও দিয়েছে তারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2020, 02:58 PM
Updated : 8 Sept 2020, 02:58 PM

এসবের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি বেশ আয়ও করেছে। চলতি সপ্তাহেই ‘নগদ’-এর আয় থেকে ডাক বিভাগকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা লাভ দেওয়া হয়েছে, যা মূলত করোনাকালের সেবা থেকেই এসেছে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ছয় মাস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ‘নগদ’।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়ার পর থেকে এই ছয় মাসে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে স্বাভাবিক রাখতে ‘নগদ’ এমন কিছু সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে, যা দেশে আগে কখনো কেউ চিন্তাও করেনি।

“‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এই মূলমন্ত্রটি মনে ধারণ করে শুরু থেকেই কাজ শুরু করে ‘নগদ’। যে কারণে শুরুর দিকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে ৬০ লাখ টাকা প্রদান করা হয় দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। একইসঙ্গে কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয় সর্বাত্মক ব্যবস্থা।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টানা লকডাউনের কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে এমএফএস-এর মাধ্যমে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ১৭ লাখই বিতরণ করা হয় ‘নগদ’ এর মাধ্যমে।

এই সময়েই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯০তম জন্মদিনে দুঃস্থদের মাঝে ভাতা বিতরণেও প্রধানমন্ত্রী ‘নগদ’কে বেছে নেন।

এছাড়াও মানুষ ঘরে বসে যেন সেবা পায় তার জন্য ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে ‘নগদ’ ওয়ালেটে টাকা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। করোনাভাইরাস টেস্টের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রক্রিয়া সহজ করতে ফি প্রদান প্রক্রিয়া ডিজিটাল করে দেয় দেশের দ্বিতীয় সেরা এমএফএস অপারেটরটি।

পাশাপাশি কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে কলেজ ভর্তি ফি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দুই লাখ গার্মেন্ট কর্মীদের বেতন-ভাতা ‘নগদ’এর মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

মহামারীর সময় দুই হাজার ই-কমার্স ও পাঁচ হাজার মার্চেন্টকে ‘নগদ’ প্ল্যাটফর্মে তুলে আনা হয়েছে। তাছাড়া দেশের বৃহৎ এফএমসিজি কোম্পানিগুলোকে লকডাউনের সময় লেনদেনের বন্দোবস্ত করে দেয় ‘নগদ’।

এ সময়ে উদ্যোক্তাদের জন্য ‘নগদ’-এর সবচেয়ে চমক জাগানিয়া সেবা ছিল বাজারে প্রচলিত রেটের চেয়ে মাত্র এক তৃতীয়াংশ খরচে টাকা ক্যাশ-আউট করার ব্যবস্থা। এর আওতায় পাঁচ ধরনের উদ্যোক্তারা হাজারে ৬ টাকায় ক্যাশ-আউট করার সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাদের ব্যবসার খরচ কমাতে সহায়তা করছে। একই সঙ্গে লকাউনের সময়ে ডাক বিভাগের মাধ্যমে গ্রাম থেকে রাজধানীতে পণ্য এনে বড় বড় দোকানে বিক্রির ব্যবস্থাও করে দেয় ‘নগদ’।

আর্থিক সেবার ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সম্প্রতি সমাজ সেবা অধিদপ্তর তাদের তিনটি ভাতা এমএফএস-এর মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এখানেও ‘নগদ’-এর অবস্থান শীর্ষেই আছে।

‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, “রাষ্ট্রীয় একটি সেবা দেশের জরুরি প্রয়োজনে সেরা সাফল্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেনি যে ‘নগদ’ এতটা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।

“গ্রাহকদের আস্থার কারণেই আমরা তাদের জীবনকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারছি। আমরা চাই সরকারের ভিশন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ‘নগদ’ নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে।”