ট্র্যাভেল এজেন্সির শাখা খোলা যাবে, সংসদে বিল

ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকানা হস্তান্তর এবং দেশ-বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ দিতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2020, 07:12 AM
Updated : 7 Sept 2020, 07:12 AM

২০১৩ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২০’ সোমবার সংসদে তোলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, “বিদ্যমান আইনটি বেশ শক্ত। আমরা ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর টিকেট দুর্নীতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির খবর আমরা জানি। এখন কেন বিলটি নরম করা হল?”

ফখরুল ইমামের প্রস্তাবটি সংসদে নাকচ হয়ে যায়। পরে সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

আইন সংশোধনের এ প্রস্তাব সংসদে পাস হলে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খুলতে পারবে।

বর্তমানে কোনো অপরাধের জন্য ট্র্যাভেল এজেন্সিকে জরিমানার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। আইনটি সংশোধন হলে জরিমানা করার সুযোগ থাকবে।

ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো ‘যৌক্তিক কারণে’ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে নতুন নিয়মে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে আবেদন করতে পারবে।

বর্তমান আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্র্যাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া কোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি ঠিকানা পাল্টাতে পারবে না। কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, “আইনটি অনুমোদন হলে নবায়ন আবেদন দাখিলে বিলম্বের ও অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিলের পরিবর্তে বিধি দ্বারা নির্ধারিত জরিমানা আদায়পূর্বক সনদ নবায়ন এবং নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে মালিকানা হস্তান্তর দেশে/বিদেশে শাখা অফিস খোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ট্রাভেল এজেন্সি হতে কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে। অধিকন্তু সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।”

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সুনামগঞ্জে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল- ২০২০’ সংসদে তোলেন।

পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।