ভুল হতে পারে, আইন ভাঙিনি: ইভ্যালি এমডি
নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 04 Sep 2020 01:17 AM BdST Updated: 04 Sep 2020 01:23 AM BdST
প্রতারণার অভিযোগের মুখে ব্যাংক হিসাব জব্দের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল দাবি করেছেন, তারা কোনো আইন ভঙ্গ করেননি।
ব্যাপক আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসেন অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি বলেন, “যতটুকু আইন আমার জানা আছে এবং আমি আমার আইনজীবীদের কাছ থেকে যে গাইডলাইন পেয়েছি তা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশের কোনো আইনের কোনো ধারা ভঙ্গ করে আমরা ব্যবসা করছি না।”
“তবে আমাদের হয়ত কোনো ছোট ভুল হয়ে থাকতে পারে। একটি শিশু যেমন সব শিখে পৃথিবীতে আসে না। সব কিছু শিখে ব্যবসা করা যায় না। আমরাও শিখছি যদি কোনো ভুল হয় সেটা আমরা শিখে শুধরে নেব,” একইসঙ্গে বলেন রাসেল।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেলের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
‘ইভ্যালি’র চেয়ারম্যান-এমডির ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইভ্যালি চলছে নগদে, পণ্যের অপেক্ষায় অনেকে
এরপর ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করার কারণে যেসব গ্রাহকের দেওয়া অগ্রিম টাকা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো যায়নি, সেসব পণ্য তারা এখন সরবরাহ করতে পারছে না। তবে আপাতত নগদ টাকার বিনিময়ে পণ্য সরবরাহের (ক্যাশ অন ডেলিভারি) পাশাপাশি পুরনো অর্ডারগুলো ‘যথাসম্ভব’ সরবরাহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ক্রেতারা টাকা যে ‘ইভ্যালি’র কাছে দিয়ে রেখেছেন, কিন্তু পণ্য পাচ্ছেন না, সেই দায় ‘ইভ্যালি’ কীভাবে মেটাবে?

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল
রাসেল বলেন, “আমরা মনে করি, সাধারণ নিয়মেই ব্যবসা করে আমরা ক্রেতাদের পণ্য পৌছে দিতে পারব। সেটা যদি না পারি সে ক্ষেত্রে কীভাবে আমরা সেই সব দায় মেটাব তার পরিকল্পনা করে রেখেছি। তবে আমাদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার দরকার হবে না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই তাদের ব্যাংক হিসাব খুলে যাবে এবং তারা আবার আগের মতো ব্যবসা করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ২০০ শতাংশ ক্যাশব্যাকের মতো সুবিধা দিয়ে আবার ইভ্যালি থেকে সেই পণ্য কেনার শর্ত দিয়ে তারা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) করছেন কি না?
উত্তরে রাসেল বলেন,“ এমএলএম ব্যবসার সাথে আমাদের কোনো মিল নেই। আমরা কি কাউকে কোনো কিছু বিক্রি করতে উদ্বুদ্ধ করি? যেটা এমএলএম ব্যবসায় করা হয়। আমরা পণ্য কিনে বিক্রি করি।
“আমাদের বিরুদ্ধে পণ্য দেরিতে ডেলিভারি দেওয়া ছাড়া আর কোনো অভিযোগ কেউ দেখাতে পারবে না। এই দেরি করাটা আমাদের ঠিক হয়ে যাবে। আর আমাদের রিফান্ডের একটা সমস্যা আছে। কিছু তথ্য প্রযুক্তিগত জটিলতায় এই সমস্যা হচ্ছিল। এটা ঠিক হয়ে যাবে।”
সর্বাধিক পঠিত
- অবিশ্বাস্য পথচলা শেষে শিরোপা হাসি রিয়ালেরই
- দুর্দান্ত কোর্তোয়া, অবিশ্বাস্য কোর্তোয়া
- ২৫ বছরের চেষ্টা বিফল, বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা
- ইতিহাস গড়লেন আনচেলত্তি
- এগিয়ে আসছে রুশ বাহিনী, পূর্বাঞ্চল ছাড়তে পারে ইউক্রেইনীয় সেনারা
- হেরাথের ক্যাম্পে ৩২ স্পিনার, নির্বাচকরা খুঁজবেন নতুন প্রতিভা
- ইউক্রেইনের ‘শত্রু’ তালিকায় উঠল কিসিঞ্জারের নাম
- ‘আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি মিনিট, ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ’
- চাপ ছিল, প্রলোভনও ছিল: মসিউর
- বরিশালে নিয়ন্ত্রণহারা বাস গাছে লেগে চুরমার, নিহত ১০