অর্থনৈতিক অঞ্চলে ‘বড় বিনিয়োগ’ করবে জাপান

বাংলাদেশের আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ‘বড় ধরনের’ বিনিয়োগ করবে জাপান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2020, 02:13 PM
Updated : 3 Sept 2020, 02:27 PM

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি একথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ বিনিয়োগ এশিয়ার মধ্যে ‘সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ’ হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা দিলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।”

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। এরপর পাঁচ বছর জাপানের চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।

“এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার। বাংলাদেশে জাপান গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।”

জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে, এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ।”

তিনি বলেন, “জাপান বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এজন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে।

“জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।”

এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।

অপরদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন  ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।