এর পরের পথচলায় দেশীয় ব্র্যান্ড মিনিস্টার-মাইওয়ান প্রতিষ্ঠা করে সাফল্যের মুখ দেখছেন তিনি। ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের পাশাপাশি চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সার্জিকাল মাস্ক তৈরির কাজেও হাত দিয়েছেন এই উদ্যোক্তা।
সম্প্রতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন এমএ রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “২০০২ সালের জুনে পাঁচজন কর্মী আর পাঁচ লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে যাত্রা শুরু করি। পণ্য ছিল বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি সাদাকালো টেলিভিশন। মানুষের হাতে কম মূল্য ভালো মানের পণ্য তুলে দেওয়ার কৌশল নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে থাকি।
“এর পরেই রঙিন টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন মাইওয়ান টেলিভিশনই বাংলাদেশে প্রথম সাত বছরের ওয়ারেন্টি দেয়।”
স্বল্প মূল্যে ও কম ভোল্টেজে চলে এমন ফ্রিজের কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করে গাজীপুরে কারখানা গড়ে তোলে মিনিস্টার-মাইওয়ান। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে দেওয়া হয় ১২ বছরের গ্যারান্টি।
ফ্রিজের অগ্রযাত্রায় এম এ রাজ্জাক এয়ার কন্ডিশনার বাজারজাত করার ব্যবসায় হাত দেন, সেখানেও আসে সাফল্য।
তিনি জানান, “মিনিস্টার এসি এনার্জি সেভিং, ইনভার্টার এবং ইএস টেকনোলজি সমৃদ্ধ এবং মানেও উন্নত। ফ্রিজের মতো ইনভার্টার এসির কম্প্রেসারেও থাকছে ১২ বছরের গ্যারান্টি। তাই এসব পণ্য অল্প দিনে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করে।”
এই সব পণ্যের পাশাপাশি তিনি বাজারে নিয়ে আসেন ব্লেন্ডার, রাইস কুকারসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গৃহস্থালির জিনিসপত্র।
এম এ রাজ্জাক বলেন, “চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও অতি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্টিলেটর তৈরিতে সাফল্য দেখিয়েছে মিনিস্টার মাইওয়ান। বিষয়টি এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
“এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে চীন থেকে আকাশপথে মেশিনপত্র এনে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরি করছে মিনিস্টার মাইওয়ান। ব্যবসার চেয়েও মানবিক দিক বিবেচনায় এই কাজগুলো আমরা করছি।”