ট্রান্সশিপমেন্ট: প্রথম চালানের পণ্য ত্রিপুরায় পৌঁছেছে

ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় ভারতীয় পণ্যের পরীক্ষামূলক প্রথম চালান বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2020, 12:12 PM
Updated : 23 July 2020, 12:13 PM

প্রথম চালানে আসা টিএমটি বার ও ডালজাতীয় পণ্যের চারটি কনটেইনার বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সেজন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত হারে মাশুল ও ফি পরিশোধ করেছে ভারত।

কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্টের চালানের চারটি কনটেইনার নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি সেঁজুতি। জেটিতে ভেড়ার পর কন্টেইনারগুলো খালাস করা হয়।

চট্টগ্রাম থেকে চারটি ট্রেইলারে করে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারগুলো বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আখাউড়া সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছায়।

স্থলবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্ত পেরিয়ে ট্রেইলারগুলো পৌঁছায় ওপারের আগরতলা স্থলবন্দরে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে কন্টেইনারগুলো বুঝে নেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

এই চালানের মধ্যে ডাল বোঝাই দুটি কনটেইনার যাবে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটির ইটিসি অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে। আর টিএমটি বারবাহী দুটি কনটেইনার যাবে আগরতলা শহরের এমএস করপোরেশন লিমিটেডের কাছে।

ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় ভারতীয় পণ্যের পরীক্ষামূলক প্রথম চালান বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌঁছায়

আখাউড়া শুল্ক স্টেশনের রজস্ব কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ বলেন, “চুক্তির আওতায় প্রথম চারটি কন্টেইনারের জন্য মাশুল এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে প্রসেসিং হয়েছে।”

এই চালান খালাস করে ৩১ হাজার টাকার মতো আয় হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের, শুল্ক বিভাগের আয় হয়েছে ১৩ হাজার টাকা।

সরকারি এই আয়ের বাইরে পণ্য বাংলাদেশি জাহাজে আনা এবং বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পরিবহনের ব্যয়ও বাংলাদেশের কোম্পানি পেয়েছে।

এই সব মিলিয়ে কন্টেইনার চারটির পরীক্ষামূলক পরিবহনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তিন লাখ টাকার মতো থাকছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে সচিব পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা এবং চুক্তির পর তা একটি পর্যায়ে আসে।

সেই চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রথম ভারতীয় পণ্যের পরীক্ষামূলক চালানের পরিবহনের কাজ হল।