এই নির্দেশনা দিয়ে বিটিআরসি চিঠি পাঠানোর পর অপারেটররা তার বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
গত ১৪ জুলাই অপারেটরদের পাঠানো বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়, “টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা অপারেটরগুলো তাদের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সোশাল মিডিয়া সম্পর্কিত সেবা আংশিক ফ্রি বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফ্রি বা বিনামূল্যে দিয়ে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে। এসব ফ্রি সোশাল মিডিয়া সেবা গ্রহণ করে কিছু অসাধু ব্যক্তি সোশাল মিডিয়ায় নানা রকমের অপ্রয়োজনীয় অপরাধমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে।
“অপারেটরদের সকল গ্রাহকদের সোশাল মিডিয়া সম্পর্কিত সেবা ফ্রি বা বিনামূল্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হল।”
এ বিষয়ে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং বাজারে স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা পাওয়ার পরই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
বিটিআরসির হিসাবে গত মে মাস নাগাদ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার, এর মধ্যে ৯ কোটি ৪০ লাখের বেশি গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।