গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় কমেছে ৮%

চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশের বেশি কমেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2020, 12:10 PM
Updated : 15 July 2020, 03:52 PM

দ্বিতীয় প্রান্তিকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩০৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের বছর এসময় ছিল ৩ হাজার ৬০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

করোনাভাইরাস মহামারী, নিয়ন্ত্রণী বিধিনিষেধ ও বৈরী আবহাওয়াকে রাজস্ব আয় কমার কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞপ্তিতে।

আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, এই তিন মাসে গ্রামীণ ফোনের করপরবর্তী মুনাফা কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।

এপ্রিল-জুন সময়ে অপারেটরটি নিট মুনাফা হয়েছে ৭২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৫৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, চার মাস ধরে নজিরবিহীন বৈশ্বিক মহামারী কাজের ধরনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কাজের ধরন থেকে শুরু করে গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়েছে।

“কোভিড-১৯ এর সাথে বৈরী আবহাওয়া ও রেগুলেটরি বাস্তবতার কারণে গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব অর্জনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”

গ্রামীনফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, “দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টারনেট সেবায় প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকলেও রাজস্ব অর্জন ও নেটওয়ার্কে গ্রাহক সংখ্যায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছি।”

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসেবে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর দিকে মার্চ শেষ নাগাদ গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৩ হাজার। মে শেষ নাগাদ তা কমে ৭ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজারে নামে।

আর গ্রামীণফোনের হিসাবে, এর পর থেকে তা কিছুটা বেড়ে ৭ কোটি ৪৫ লাখে উঠেছে, যার মধ্যে ৪ কোটি ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকা এবং সরকারের কোষাগারে কর, ডিউটি, ফিস ও স্পেকটার্ম চার্জ বাবদ মোট রাজস্বের ৬৭ শতাংশ বা ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।