গ্রামীণফোনের সঙ্গে আলোচনায় আপত্তি নেই বিটিআরসির

‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ বা এসএমপি নিয়ে বিদ্যমান বোঝাপড়ার দূরত্ব নিরসনে গ্রামীণফোনের আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া মিলেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2020, 12:24 PM
Updated : 1 July 2020, 12:27 PM

এসএমপি নিয়ে বিদ্যমান বোঝাপড়ার যে দূরত্ব রয়েছে, বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা করার প্রস্তাব দিয়ে গ্রামীণফোন মঙ্গলবার জানিয়েছিল, এ প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন আদালতে দেওয়া রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করতে চায়।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আলোচনায় আমার কোনো আপত্তি নেই।

“তবে যা হবে আইন অনুযায়ী হবে। আইনের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করার সুযোগ নেই।”

গ্রামীণফোন থেকে আলোচনার প্রস্তাব পেলে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

“আলোচনার জন্য প্রয়োজনে একটি কমিটি করে দেব, সেই কমিটির সাথে গ্রামীণফোন আলোচনায় বসবে।”

গ্রাহক সংখ্যায় দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণার এক বছরের মাথায় গত ২১ জুন দুটি বিধিনিষেধ আরোপ করে বিটিআরসি।

ফাইল ছবি

প্রথম নির্দেশনায় গ্রামীণফোনের নতুন সেবা, প্যাকেজ বা অফার চালু করা কঠিন করা হয় এবং দ্বিতীয় নির্দেশনায় নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকের গ্রামীণফোন ছাড়ার সুযোগ সহজ করা হয়।

দুটি বিধিনিষেধ চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণফোন রোববার আদালতে রিট আবেদন দায়েরের পরপরই আরও একটি বিধিনিষেধ আরোপ করে বিটিআরসি।

নতুন বিধিনিষেধে কল টারমিনেটিং অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের পাওনা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আগামী ১৬ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

এরপর মঙ্গলবার গ্রামীণফোন রিট আবেদনটি না চালানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া প্রথম দুটি এসএমপি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তারা নিয়েছে।

তবে এসএমপি নিয়ে নিজেদের ভিন্নমত থাকার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলরা হয়, বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব বলে তারা আশাবাদী।

বিটিআরসি ২০১৮ সালে একটা প্রবিধিমালা জারি করে। এ প্রবিধানমালার মূল কথা হচ্ছে, বাজারে যদি কোনো অপারেটর সংখ্যাগুরু অবস্থানে থাকে অর্থাৎ কোনো অপারেটরের যদি বাজারে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার থাকে, তাহলে সেটা ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ বা এসএমপি।

আর কোনো মোবাইল অপারেটর এসএমপি হলে বাজারে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় তার উপরে বিটিআরসি কিছু বিধি নিষেধ আরোপ পারবে অন্যান্য অপারেটরের তুলনায়।

বাজারে একমাত্র এসএমপি মোবাইল অপারেটর হচ্ছে গ্রামীণফোন। এই কারণে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের উপর বিধি-নিষেধ দিয়েছে।