সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে রাষ্টায়াত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় পঁচিশ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী রোববার এই ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবিতে সোমবার সন্তানদের নিয়ে বিক্ষোভ করেন পাটকল শ্রমিকরা।
এই অবস্থার মধ্যে শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সভার বরাত দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা কোনো শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা তিনি কখনও চান না। পাটকল শ্রমিকদের কল্যাণ এবং এ শিল্পের উন্নয়নের কথা ভেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে অবসায়নের পর মিলগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে পিপিপি/যৌথ উদ্যোগ/জিটুজি/লিজ মডেলে পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন মডেলে পুনঃচালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত বর্তমান শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একই সাথে এসব মিলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।”
“সরকার ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৪ সাল হতে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের (৮,৯৫৪ জন) প্রাপ্য সব বকেয়া, বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের (২৪,৮৮৬ জন) প্রাপ্য বকেয়া মজুরি, শ্রমিকদের পিএফ জমা, গ্র্যাচুইটি এবং সে সাথে গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ হারে অবসায়ন সুবিধা একসাথে আগামী সেপ্টেম্বরে শতভাগ পরিশোধ করবে। এজন্য সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে।”
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান, শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।