বাজারে ৫০ টাকার কমে সবজি মিলছে না

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে কোনো সবজিই ৫০ টাকা কেজির নিচে বিক্রি হচ্ছে না; ডিমের দামও অন্তত ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2020, 08:22 AM
Updated : 27 June 2020, 08:22 AM

শনিবার নগরীর রামপুরা কাঁচাবাজার, মালিবাগ, বাড্ডা, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বাড়ছে বলে জানান তারা।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়ছে।

“একদিকে অধিকাংশ সবজির মৌসুম শেষ হয়েছে, অন্যদিকে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সরবরাহও কম।”

বিভিন্ন বাজার ও মানভেদে কেজিপ্রতি বেগুনে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকায়এবং টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বরবটির ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা,পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা,পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা,করল্লা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা,কচুর মুখী ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং কাকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম চড়া থাকলেও কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।

রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহ জালাল বলেন,  গত কয়েক মাস বাজারে বিভিন্ন সবজি ভরপুর ছিল। যে কারণে সবজির দামও কম ছিল। এখন বহু সবজি কৃষকের ক্ষেতেই নাই। যে কারণে অন্যান্য সবজির দাম বেড়েছে।

এদিকে সবজির চড়া দামের মধ্যে বাজারে ডিমের দামও ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা,যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। হালি হিসেবে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা।

ডিমের দাম নিয়ে মালিবাগ বাজারের ব্যবসায়ী খন্দকার ফরহাদ বলেন,কয়েকদিন ধরে বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। আবার চাহিদাও বেড়েছে। হয়তো এই কারণে দাম বেড়েছে।

এদিকে বাজারে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দামও চড়া। বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি।

আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৫০০ টাকা। শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা,টেংরা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর তেলাপিয়া মাছ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।