এই কর্মকর্তা হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন সোয়াদ (৩৪)। তিনি ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে যুগ্ম পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকার হলিফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন হলিফ্যামিলি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদ।
হলিফ্যামিলি হাসপাতালে এখন শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এর আগে বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা মারা গেলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার মৃত্যু এর আগে ঘটেনি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফরিদ উদ্দিন মারা গেছেন। এখনও তার ডেথ সার্টিফিকেট আমাদের কাছে আসেনি।
“তবে যেহেতু হলিফ্যামিলি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাহলে এটা নিশ্চিত যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা গেছেন।”
২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন ফরিদ। স্ত্রী ও ৪ বছরের এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত ১২ জুন ফরিদ উদ্দিনের করোনাভাইরাস উপসর্গ দেখা দেয়। প্রথমে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৪ জুন তাকে হলিফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ঢাকায় মিরপুর এলাকায় থাকতেন তিনি।