‘রেড জোনে’ ব্যাংক বন্ধ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

করোনাভাইরাসের বিস্তারে লাগাম টানতে সরকার ঘোষিত ‘রেড জোন’ এলাকায় সব ব্যাংকের শাখা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2020, 04:50 PM
Updated : 15 June 2020, 04:51 PM

তবে প্রশাসনের ভিন্ন কোনো নির্দেশনা থাকলে সীমিত জনবল নিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেনের জন্য ব্যাংকের শাখা খোলা রাখা যাবে। তবে এ সব শাখায় ব্যাংকের আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজের জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

তবে ‘রেড জোন’ ঘোষিত হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকার ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ করা যাবে ৩টা পর্যন্ত।

রেড জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে বলে এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন হয়েছে।

এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার রেড জোনের নির্দেশাবলি জারির পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশনা

>> স্বাস্থ্য অধিদপ্তর/সিটি করপোরেশন/জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত ‘রেড জোন’ এলাকায় (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা) অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো সাধারণত বন্ধ থাকবে।

তবে শাখার খোলা রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনের ভিন্ন কোনো নির্দেশনা থাকলে সীমিত জনবল নিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত লেনদেনের জন্য খোলা রাখা যাবে। এ সব শাখায় ব্যাংকের আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজের জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

প্রশাসনের সহায়তায় এ সব এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সকাল ৪টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ন্যূনতম পর্যায়ে চাল রাখা যাবে, যাতে অন্যান্য শাখার কাজ বিঘ্নিত না হয়।

>> ‘রেড জোন’ ঘোষিত হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকার ( ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও খাতুনগঞ্জ) ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ করা যাবে ৩টা পর্যন্ত।

>> স্বাস্থ্য অধিদপ্তর/সিটি করপোরেশন/জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত ‘ইয়োলো ও গ্রীণ জোন’ এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এ সব শাখায় ব্যাংকের আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজের জন্য বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, রেড জোনে আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম যেমন টাকা জমাদান/ উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএমের মাধ্যমে করা যাবে। তবে সীমিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।