আরও ১টি প্রতিষ্ঠান পেল ই-ওয়ালেট লাইসেন্স

আরও একটি প্রতিষ্ঠানকে ই-ওয়ালেট সেবা চালুর চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আবদুর রহিম হারমাছি প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক IANS/bdnews24.comবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 03:53 PM
Updated : 4 June 2020, 03:53 PM

রিকারশন ফিনটেক লিমিটেড নামের এ ওয়ালেটের মাধ্যমে দেশের ভেতরে পণ্য ও সেবার মূল্য অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে।

আগামী দুই মাসের মধ্যে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।

রিকারশন ফিনটেককে বছর খানেক আগে অনলাইনে কেনাকাটা এবং অর্থ লেনদেনের সুবিধা দিতে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্সের অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করায় বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে ডিজিটাল পদ্ধতির লেনদেনের প্রসার ঘটাতে আমরা রিকারশন ফিনটেককে কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছি।”

আরও কয়েকটি আবেদন জমা আছে। যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকেও কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান মেজবাউল হক।

চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে রিকারশন ফিনটেকের এমডি আরিফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি। ৬২টি ব্যাংক, সব মোবাইল অপারেটর, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) সঙ্গে চুক্তি হয়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারি।

“কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে একটু অপেক্ষা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক বা না হোক আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করব। আমাদের ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের শুধু ডিজিটাল পেমেন্টে নয়, তাদের সর্বাধুনিক লাইফস্টাইল ও আর্থিক নানা সেবা দেওয়া হবে।”

বর্তমানে দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ই-ওয়ালেট সেবা দিচ্ছে। ২০১৫ সালে পেইজা নামের ই-ওয়ালেট প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পায়। এ ছাড়া পেইপ্যাল নামের আরও একটি ই-ওয়ালেট ব্যবস্থা দেশে কাজ করার অনুমোদন পেয়েছে। তবে পেইপ্যাল শুধু বিদেশ থেকে দেশে অর্থ আনার কাজে ব্যবহার হবে।

এছাড়া আই-পে সিস্টেমস এবং ডি মানি বাংলাদেশ ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে দেশের ভেতরে পণ্য ও সেবার মূল্য অনলাইনে পরিশোধ করা যাচ্ছে।

আরিফ হোসেন বলেন, “ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের স্মার্টফোনে আমাদের ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খুলে এর সঙ্গে নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে পারবেন। যে কোনো ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে নিতে পারবেন। টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা ছাড়াও টপ-আপ, বিল পরিশোধ, টিকিটিং, ফুড, বিমাসহ নানা ধরনের লাইফস্টাইল সেবা টাওয়া যাবে।”

এছাড়া ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে ‘অন-ডিমান্ড’ এবং ‘ডে-টু-ডে’ সেবার সুযোগ থাকবে। কিউআর কোড এবং অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ‘টাচ পয়েন্টে’ অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন বলেও জানান আরিফ।