যাত্রী খরায় এখন চার্টার্ড ফ্লাইটে মনোযোগ বিমানের

করোনাভাইরাস সঙ্কটে দুই মাস বন্ধ থাকার পর আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হলেও যাত্রী মিলছে না।

গোলাম মুজতবা ধ্রুব নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 02:11 PM
Updated : 4 June 2020, 02:11 PM

এই পরিস্থিতিতে চার্টার্ড ফ্লাইটের সুযোগ নিয়ে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

আভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে এখন বিমানের ফ্লাইট ভাড়া নেওয়া যাবে। এজন্য ৫ ঘণ্টার জন্য বিমান ভাড়ায় দূরত্ব ভেদে খরচ হবে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা।

বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহা ব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, “প্রথমবারের মতো যাত্রীদের জন্য এই সুযোগ দিচ্ছে বিমান।”

করোনাভাইরাস মহামারীতে গোটা বিশ্বের আকাশপথও সীমিত হয়ে এসেছে। ছোঁয়াচে এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে গত ২ মাস ধরে দেশের ভেতরেও বিমান চলাচল ছিল বন্ধ।

বিধিনিষেধ শিথিলের পর গত ১ জুন আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হলেও যাত্রী মিলছে না, যার ফলে নিয়মিত ফ্লাইটগুলোও চালাতে পারছে না বিমান।

ফ্লাইট চালুর প্রথমদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম,সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে আসা-যাওয়াসহ দুটি করে সর্বমোট ৬টি ফ্লাইট ছিল বিমানের। তার মধ্যে কেবল সৈয়দপুর রুটে দুটি ফ্লাইটই পরিচালিত হয়েছে।

দ্বিতীয় দিনে যাত্রী সঙ্কটের কারণে কোনো ফ্লাইটই চলেনি। পরদিন ফ্লাইট কমিয়ে চারটিতে আনা হলেও যাত্রী খরায় কোনো ফ্লাইটই ওড়েনি।

চতুর্থ দিনও কোনো ফ্লাইট পরিচালিত হয়নি জানিয়ে তাহেরা খন্দকার বলেন, “যাত্রী সঙ্কটে আগামী দুদিনও কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।”

এর মধ্যেই চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানান তিনি।

তাহেরা খন্দকার বলেন, “কেউ চাইলে দেশের ৭টি আভ্যন্তরীণ রুটেই বিমানের চার্টার ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য একটি গন্তব্যে ৫ ঘণ্টার জন্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ পড়বে।”

অর্থাৎ কেউ এই অর্থে বিমানের ফ্লাইট ভাড়া করে এই সাতটি রুটের যে কোনোটিতে আসা-যাওয়া করতে পারবেন ৫ ঘণ্টার মধ্যে।

বেশি সময় লাগলে কিংবা দূরত্ব ভেদে টাকার পরিমাণ বাড়বে বলে জানান তাহেরা।

ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেট,সৈয়দপুর,যশোর,রাজশাহী ও কক্সবাজার রুটে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ সঙ্কটে সব রুটে ফ্লাইট না চললেও চার্টার্ড ফ্লাইট অভ্যন্তরীণ সব গন্তব্যেই যাবে বলে জানান তাহেরা।

তিনি বলেন, এজন্য বিমানের ড্যাশ-৮ মডেলের এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হবে।