বিজিএমইএর উদ্যোগে কোভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাব

মহামারীর এই সময়ে পোশাক শ্রমিকদের নমুনা পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের চন্দ্রায় একটি করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 12:01 PM
Updated : 4 June 2020, 12:01 PM

বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিজিএমইএর সাবেক ও বর্তমান নেতারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, শ্রম সচিব কেএম আব্দুস সালাম এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানান হয়, ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় চন্দ্রার ডা. ফরিদা হক মেমোরিয়াল ডায়বেটিক হাসপাতালে ল্যাবটি চালু করা হচ্ছে।

আগামী শনিবার থেকে সেখানে পরীক্ষা শুরু হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।

একটি পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা চালানোর জন্য ১৬ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়ে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, তারা দিনে অন্তত ৪০০টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন।  

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে কারখানা সচল রাখতে শুরু থেকেই তৎপর দেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা।

মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ মার্চে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই একটি হেলফ লাইন সেন্টার চালু করে। সেখানে ফোন করে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সচেতনতামূলক তথ্য নিচ্ছেলেন পোশাক শ্রমিকরা।

অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এপ্রিলের প্রথম দিন এই ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ শুরু হয়। মাত্র এক মাসের মধ্যে তা বাস্তবতার মুখ দেখছে। অনেকেই এই কাজে বিজিএমইএকে সহযোগিতা করেছে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম বলেন, “আজকে যখন আমরা কথা বলছি তখন আমরা এই কোভিড-১৯ রোগে দেশের ৭৪৬ জন নাগরিককে হারিয়েছি। এই ভাইরাস পৃথিবীকে উলট-পালট করে দিয়েছে।

“বাংলাদেশও একইভাবে আক্রান্ত। ৩৪ বিলিয়ন ডলারের এই খাতে একটা মেঘের ঘনঘটা দেখছি। অনেক উদ্যোক্তা হারিয়ে যাবে, অনেক শ্রমিক চাকরি হারাবে।”

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষা খুবই জরুরি, সেই উদ্যোগটি বিজিএমইএ নিয়েছে। এর মাধ্যমে যে উদ্দেশ্যে পোশাক শিল্প এই পরিস্থিতিতে চালু করা হয়েছে, তা সফল হবে। কারণ ল্যাব বা টেস্ট পর্যাপ্ত না হলে এই রোগ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।”

টেস্টিং ল্যাবের পাশাপাশি বিজিএমইএকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন সেন্টার চালু করতে পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। বড় বড় কোম্পানিগুলো নিজস্ব শ্রমিকদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড করতে পারে।”