মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পদক্ষেপের বিস্তারিত জানিয়ে বলা হয়, প্রাণঘাতী ও ছোঁয়াচে রোগটি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
এতে বলা হয়, সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হলেও কর্মকর্তাদের বাসা থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ন্যূনতম কর্মীর উপস্থিতিতে চলছে ব্যাংকের ১৪৬টি শাখার ব্যাংকিং কার্যক্রম।
প্রাইম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাপোর্ট ফাংশনের কর্মকর্তাদেরও বাসা থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে তারা। সন্তানসম্ভবা, জটিল রোগে আক্রান্ত ও বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বাধ্যতামূলকভাবে বাসা থেকে কাজ করছেন।
প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমরা যদি একে অপরের প্রতি খেয়াল রাখি, সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিই এবং সদা সতর্ক থেকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, তাহলে অবশ্যই আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব।”
সব অফিসে পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম, নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করার কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অধিক ঝুঁকির মুখোমুখি কর্মকর্তাদের অ্যাপ্রন, ফেস শিল্ড, হেড কভার এবং অন্যান্যদের মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে।”
মাস্ক ছাড়া ব্যাংকের কোন অফিসে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। অফিস করার সময় সহকর্মী ও গ্রাহকদের থেকে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
করোনাভাইরাস বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য কুইক রেসপন্স টিমকে ২৪ ঘন্টা সতর্ক অবস্থায় রাখার কথাও জানিয়েছে বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠান।