দ্বিতীয় কিস্তির ১০০০ কোটি টাকা ৩১ মের মধ্যে দেবে জিপি

নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিরীক্ষা দাবির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তির ১০০০ কোটি টাকা জমা দিতে যাচ্ছে গ্রামীণফোন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2020, 10:12 AM
Updated : 18 May 2020, 10:12 AM

৩১ মের মধ্যে এই টাকা বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হবে বলে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ এই মোবাইল ফোন অপারেটর।

এর আগে ২৩ ফেব্রয়ারি বিটিআরসিতে ১০০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছিল গ্রামীণফোন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি  ভবিষ্যত ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, গ্রাহকসেবার মান উন্নয়ন, ব্যবসায়িক পরিবেশে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় আদালতের সুরক্ষা প্রত্যাশা করে।  

“গ্রামীণফোন তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলতে চায়, বিটিআরসির অডিট আপত্তি ও পাওনা দাবি একটি বিরোধপূর্ণ বিষয়। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আদালতের বাইরে অথবা আদালতে গ্রামীণফোন এই বিরোধের নিম্পত্তি করতে আগ্রহী।”

বিটিআরসি বলে আসছে, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাশাপাশি রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের।

এই টাকা আদায়ে প্রথম ধাপে ব্যান্ডউইডথ কমিয়ে দিয়ে এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ২২ জুলাই বিভিন্ন ধরনের সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।

তাতেও কাজ না হওয়ায় গতবছর ৫ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে দুই অপারেটরকে নোটিস পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রয়োজনে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগের কথাও বলেন।

বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় গ্রামীণফোন গতবছর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।

গ্রামীণফোনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিসের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট। বিটিআরসি লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন