বিনা মাশুলে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে ‘কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’

লকডাউনে প্রান্তিক কৃষকদের কৃষিপণ্য ঢাকায় পাইকারি বাজারে বিনা মাশুলে পৌঁছে দিতে ‘কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’ চালু করেছে ডাক অধিদপ্তর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2020, 11:44 AM
Updated : 9 May 2020, 11:44 AM

প্রাথমিকভাবে মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি বিনা মাশুলে পরিবহনের মধ্য দিয়ে এই সেবাটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শনিবার সকালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবার উদ্বোধন করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই সেবার আওতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই তার বিক্রি করা দাম পেয়ে যাবেন। এতে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী না থাকায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন।

ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত যে ডাকগাড়ি যাচ্ছে, ওই গাড়িগুলোই কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আসবে। ফলে সরকারের অতিরিক্ত কোনো খরচও হবে না।

পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবা চালু করা হবে বলে ডাক বিভাগ জানিয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, “লকডাউনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে কৃষক সবচেয়ে বেশি বিপন্ন অবস্থায় আছে। কৃষক পণ্য উৎপাদন করছে, কিন্তু এই পণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না। শাকসবজি পচনশীল পণ্য দীর্ঘ দিন ধরেও রাখা যায় না। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের বিদ্যমান সংকটে বিনা মাশুলে রাজধানী ঢাকায় পণ্য পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে থাকার আমরা চেষ্টা করছি।”

ঝিটকা বাজার থেকে ফ্রি সার্ভিসের আওতায় প্রথম দিন এক হাজার ২০০ কেজি পেঁয়াজ, ৬০ কেজি কাঁচামরিচ, ৮০ কেজি বেগুন, ৬০ কেজি করলা, ৬০ কেজি চিচিংগা, ৬০ কেজি ঝিংগা, ৬০ কেজি ঢেঁড়স, ১২০ কেজি শসা এবং ১৮০টি মিষ্টি কুমড়া নিয়ে ‘কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’র গাড়ি ঢাকায় রওনা হয়।

এই কৃষিপণ্য গাবতলী কৃষিবাজার এবং ধানমণ্ডির মীনাবাজারে পৌঁছে দেওয়া হবে। মীনাবাজার, চালডাল এবং পার্কিং বাজার কৃষকদের এই সব পণ্য ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সরাসরি কিনছে।

ভিডিও কনফারেন্সে ঝিটকা বাজার প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের পরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র সংযুক্ত ছিলেন।