আর কঠিন এই পরিস্থিতিতে যে কেউ যখন-তখন ইচ্ছে করলেই এই আউটলেটগুলোতে কেনাকাটার জন্য ঢুকতে পারবেন না। অনলাইনে নিবন্ধন করে তবেই ঢুকতে হবে।
“এই কঠিন সময়ে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। ক্রেতারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা সারতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“আমাদের আউটলেটগুলো থেকে কেনাকাটা করতে হলে আড়ংয়ের ওয়েবসাইট অথবা ফেইসবুক পেজে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্টেশন সম্পন্ন হলে একটি প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে। সেটি দিয়ে আউটলেটে ঘুকতে হবে।”
শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তামারা হাসান আবেদ। সঞ্চালনা করবেন ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর মৌটুসী কবীর।
আশরাফুল আলম বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর বিপনিবিতান খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়ংয়ের অধিকাংশ আউটলেট আগামী রোববার থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশের দুই বড় শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ আরও কিছু মার্কেটও বন্ধ থাকছে।
সারা দেশে আড়ংয়ের ২১টি আউটলেট আছে। এরমধ্যে ১৭টি খোলা হবে।
আশরাফুল আলম বলেন, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ থাকায় ওই দুই মার্কেটের আউটলেট বন্ধ থাকবে। এছাড়া করোনাভাইরাসের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বাসাবো আউটলেট খোলা হবে না।
“ আউটলেট খোলার ক্ষেত্রে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি গ্রাহক ও বিক্রয়কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। গ্রাহকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রথমত দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করছি, তারপর কেনাবেচা। প্রতি ঘণ্টায় কয়জন গ্রাহককে আমরা সেবা দিতে পারবো তার একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
তিনি করেন, প্রবেশের সময় প্রত্যেকটি গ্রাহকের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে ওই আউটলেটে কোনোভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক গ্রাহকের মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা আড়ং থেকে করা হবে। গ্রাহকরা যখন ভেতরে প্রবেশ করবেন তখন পরস্পর থেকে কমপক্ষে তিন ফিট দূরত্বে থাকা বাধ্যতামূলক করে গোল চিহ্ন করে দেওয়া হবে। আড়ংয়ের প্রত্যেক কর্মচারীকেও সর্বোচ্চ সর্তকতা মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তাদের প্রত্যেককে বাসা থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা থাকছে।