রোজার শুরুতে ১৭ খাদ্য পণ্য নিষিদ্ধ

রোজার শুরুতে নিম্নমানের ১৭টি খাদ্যপণ্য নিষিদ্ধ করে বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2020, 01:42 PM
Updated : 25 April 2020, 01:42 PM

শনিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খোলাবাজার থেকে পণ্য কিনে বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে বাংলাদেশ মানের (বিডিএস) থেকে নিম্নমানের পাওয়ায় এ সব পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

একইসাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি পরবর্তীতে এসব পণ্যের মানোন্নয়ন করে পুণঃঅনুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকা এবং উৎপাদনকারীদের বাজার থেকে বিক্রিত মালামাল প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিষিদ্ধ পণ্যগুলো হল- চট্টগ্রামের কল্পনা কমোডিটিজ কোম্পানির এপি-১ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের চিটাগাং ফ্লাওয়ার মিলস-এর এ্যাংকর ব্র্যান্ডের সুজি,  যশোরের আল আমিন বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারির আল আমিন ব্র্যান্ডের লজেন্স, ঢাকার মি. বেকার অ্যান্ড পেস্ট্রি শপের মি. বেকার ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ফরিদপুরের সেফ ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবা ব্র্যান্ডের চিপস (পটেটো), কক্সবাজারের রিয়াদ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বঙ্গ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের আর এম ব্র্যান্ডের ঘি, বগুড়ার জিনিয়াস সেফ ফুড অ্যান্ড কনজ্যুমারের জিনিয়াস স্পেশাল ব্র্যান্ডের ঘি এবং সয়াবিন তেল ও হলুদের গুড়া, বগুড়ার সীমা ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের সীমা ব্র্যান্ডের সুজি, গাজীপুরের জি এম ফুড প্রোডাক্টের এবি-১ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ও রাজা ব্র্যান্ডের ঘি, গাজীপুরের শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্টের নুরজাহান ব্র্যান্ডের বাটার, শরীয়তপুরের মাদার ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টের বেস্ট-১ ব্র্যান্ডের ঘি, মৌলভীবাজারের শাহী ফুড প্রোডাক্টের শমসের নগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি এবং একটি নাম ঠিকানা বিহীন ড্রামের লুজ সয়াবিন তেল।

বিএসটিআই পণ্যের মান সনদ দেওয়ার পরে প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে কি না তা যাচাই করার জন্য বছরব্যাপী নিয়মিত সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে থাকে।

রমজান মাসে অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা যাতে ভেজাল/নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিক্রি থেকে বিরত থাকে সে লক্ষ্যে আগে থেকেই সার্ভিল্যান্স জোরদার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর রমজান মাসে ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত দুই মাসে ইফতার ও সেহরির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছ। 

মোট নমুনার সংখ্যা ৫২১টি, পরীক্ষা হয়েছে ২৫৩টি, মানসম্মত নমুনা ২৩৬টি, নিম্নমানের নমুনা ১৭টি এবং পরীক্ষাধীন রয়েছে ২৬৮টি নমুনা।