ঢাকা-চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়ল

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যেই আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকার ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 01:10 PM
Updated : 23 April 2020, 01:39 PM

সেইসঙ্গে এই দুই এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সার্কুলারে এ দুই এলাকার জন্য ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি ঠিক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রধান দুই বাণিজ্যিক এলাকা রাজধানী ঢাকার মতিঝিল-দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের  খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত সব তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো ২৬ এপ্রিল রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি কার্যদিবসে খোলা থাকবে।

এই দুই এলাকার সব শাখায় লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। তবে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট পণ্য জট নিরসনে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে মতিঝিল-দিলকুশা এবং খাতুনগঞ্জ-আগ্রাবাদে ব্যাংক শাখার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।

করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ লকডাউন শুরুর পর জরুরি সেবা হিসেবে সীমিত আকারে ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখা হয়।

প্রথম দফায় সকাল ১০টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় ঠিক করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরপর ২ এপ্রিল লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংকে কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পর ৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনের সময় কমিয়ে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত করা হয়।

এরপর ১৬ এপ্রিল থেকে আবার লেনদেনের সময় ১টা পর্যন্ত করা হয়।

সীমিত আকারের ব্যাংকিং সেবার আওতায় যেসব ব্যাংক শাখা খোলা রয়েছে, সেগুলোতে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্তই চলবে। আর আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক বেলা ২টা পর্যন্তই খোলা থাকবে।

সাধারণ ছুটির মধ্যে দেশের বিভিন্ন বন্দরের (সমুদ্র/স্থল/বিমান) মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে এসব এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস্ এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/বুথগুলো স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে বলা হয়েছে।