কোভিড-১৯: এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক সহায়তা অপরিহার্য

মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এই সঙ্কটকালীন সময়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর (এমএফএস) সরকারের প্রশাসনিক সহায়তা অপরিহার্য বলে মনে করেন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2020, 01:41 PM
Updated : 8 April 2020, 06:24 AM

বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিকাশের কার্যক্রম তুলে ধরে বুধবার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোভিড-১৯ সঙ্কটকালীন সময়ে এমএফএসগুলো নীরব ভূমিকা রেখে চলেছে।এ পরিস্থিতিতে সরকারের প্রশাসনিক সহায়তা অপরিহার্য।”

কামাল কাদীর বলেন, কোভিড-১৯ নামক মহামারীর সংক্রমণে বৈশ্বিক অর্থনীতির চাকা যেখানে স্থবির হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় থাকা এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানে সহজলভ্য আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে জরুরি অবস্থায় অপরিহার্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

“বিকাশের ন্যায় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্যাশ-ইন/ক্যাশ-আউট, ব্যাংক টু বিকাশ, বিল পেমেন্ট, অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স গ্রহণ ইত্যাদি সেবা দিয়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় এমএফএসগুলো বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং ওষুধের পেমেন্টের জন্য কোন চার্জ নিচ্ছে না, তদুপরি ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ-আউট চার্জও ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। “

৭ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জরুরী অবস্থাকালীন সময়ে বিকাশ চার্জমুক্ত পিটুপি সেবা প্রদানে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং চার্জমুক্ত ক্যাশ-আউট সেবা প্রদানে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৮ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এ সময়ে  বিকাশ ৫ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার ৭৩৯ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

কামাল কাদীর বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি এই ইঙ্গিত দেয় যে, এই জরুরী অবস্থা থেকে সম্পূর্ণভাবে উত্তরণে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। যার ফলস্বরূপ এমএফএস সেবার প্রয়োজনীয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

“করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এমএফএসগুলো অবদান রেখে চলেছে।এই সময়ে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এবং সারা দেশে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বিতরণে শিক্ষার্থী উপবৃত্তি বিতরণে অভিজ্ঞ এমএফএসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

বিকাশের সিইও কামাল কাদীর বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সরকার যে দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন তা কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এমএফএসের নীরব ভূমিকা থেকেই উপলব্ধি করা যায়।

 “বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন এমএফএসগুলো সামনের সঙ্কটপূর্ণ দিনগুলোতেও দেশের সব ধরণের অর্থনৈতিক লেনদেনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই জরুরী অবস্থায় অপরিহার্য সেবা প্রদানের সক্ষমতা বজায় রাখতে সরকারের প্রশাসনিক সহায়তা এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর একান্ত কাম্য বলে আমি মনে করি।”

বর্তমানে দেশে এমএফএসের মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। যার ৮০ শতাংশই হয় বিকাশের মাধ্যমে।