করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের চলমান পদক্ষেপগুলোকে আরও বেগবান করতে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দেশের অন্যতম বৃহৎ এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন।
এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারি উদ্যোগে অংশ নিতে আর্তমানবতার সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে এসেছে যমুনা গ্রুপ। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে সরকারের উদ্যোগে সাথে থাকার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম অনুদানের এ চেক হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলামসহ অন্যান্য পরিচালকউপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। অনুদানের চেক প্রদানের পর যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী যমুনা গ্রুপের নিজস্ব কারখানায় প্রস্তুত ৭৫ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুমুক্ত করে বারবার ব্যবহারযোগ্য ১৩ হাজার পিপিই এবং ৭৫ হাজার সার্জিক্যাল ও এন ৯৫ ফেস মাস্ক এবং ২ হাজার পিস সিই মার্কিন সার্টিফিকেট সম্পন্ন করোনা শনাক্তের কিট চিকিৎসা সামগ্রী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নিকট পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “নিজ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার অনুভূতি থেকেই সরকারের সব উদ্যোগে সাথে থাকবে যমুনা গ্রুপ। আমাদের সকলেরই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই লক্ষ্যে কাজ করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”