গার্মেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ মেয়র খোকনের

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে কিছু পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2020, 01:44 PM
Updated : 4 April 2020, 01:44 PM

রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির কথাটি মাথায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হলেও পোশাক কারখানার বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার।

তবে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ অধিকাংশ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত দিলে অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরে যান।

শনি ও রোববার কিছু কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত শোনার পর শুক্রবার থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকার পথে রওনা হন অনেক পোশাক শ্রমিক। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বেশিরভাগই হেঁটে রওনা হন।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক বিবৃতি বলা হয়, “বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস কর্মী শহরে প্রবেশ করছে। এর ফলে করোনা পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে বহু নাগরিক ফোন করে মাননীয় মেয়রকে অবহিত করেছেন।

“এর প্রেক্ষিতে এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।”

করোনাভাইরাস সঙ্কটে লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে খাবার নিতে না আসা অসহায় ব্যক্তিদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে ডিএসসিসি।

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,গত শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৬১১টি পরিবারকে তারা খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “লোকলজ্জার ভয়ে অনেক ব্যক্তি প্রকাশ্যে খাবার নিতে আসতে চাইছিলেন না। এ খবর পেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুটি হটলাইন নম্বর খুলে তাদের সেখানে খাবারের কথা জানাতে বলে। হটলাইন নম্বর হলো:০১৭০৯৯০০৭০৩/ ০১৭০৯৯০০৭০৪। হটলাইন নাম্বারে যারা কল করেছিল, তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে আমরা ৬১১ জনের পরিবারে খাদ্য বিতরণ করেছি।”

এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান উত্তম রায়।