সম্প্রতি প্রকাশিত আইকিউভিএ (যা আগে আইএমএস নামে পরিচিত ছিল) জরিপ অনুযায়ী ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেথোকার্বামল জেনেরিক ট্যাবলেটের বাজারে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ডিবিএল ফার্মা। আর প্রথম অবস্থানে আছে ভারতীয় গ্রানিউলস্ ফার্মার মার্কিন সহযোগি প্রতিষ্ঠান।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, মেথোকার্বামল মাংশপেশীর ব্যাথায় যুক্তরাষ্ট্রে বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ। প্রথম বাজারজাতকারীর প্যাটেন্ট স্বত্ত্ব মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে মূলতঃ ভারতীয় জেনেরিক ওষুধ কোম্পানীগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর বাজার দখলে নেয়। ২০১৮ সালের শেষ দিকে ডিবিএল এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাও ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করতে ইউএস এফডিএ’র অনুমোদন পায়।
ডিবিএল গ্রুপ তাদের রপ্তানীমুখী পোষাক শিল্প এবং সিরামিক শিল্পে সাফল্যের হাত ধরে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ করছে। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে গাজীপুরের কাশিমপুরে সম্পূর্ণ ইউএস এফডিএ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নির্মানাধীন ডিবিএল ফার্মার কারখানাটি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের বাজারের জন্য ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
এছাড়াও সম্প্রতি বন্ধ ঘোষিত গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রামের ওষুধ কারখানায় ব্যবহৃত ক্রিম ও অয়েন্টমেন্ট জাতীয় ওষুধের উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রনের প্রযুক্তি সরঞ্জাম কিনে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফলে বেটনোভেট, ব্যাকট্রোব্যান জাতীয় জনপ্রিয় ওষুধগুলোর বিকল্প হুবুহু একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন ও মাননিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগীদের মাঝে পৌঁছে দিবে ডিবিএল ফার্মা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে ডিবিএল ফার্মা ইউএসএফডিএ অনুমোদিত মেথোকারবামল গ্রুপের ২টি জেনেরিক ওষুধের স্বত্ত্ব কিনে নিয়ে কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ বাজারজাতকারীদের মধ্যে ৩য় বাংলাদেশী উদ্যোগ হিসেবে শুরুতেই চমক দেখিয়েছে ডিবিএল ফার্মা।
কাশিমপুরের উৎপাদন কারখানাটি সক্রিয় হলে বাংলাদেশে উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ওষুধ রপ্তানি করবে ডিবিএল ফার্মা।