করোনাভাইরাস: গার্মেন্টে ছুটি ঘোষণার দাবি

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে গার্মেন্টগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১০টি শ্রমিক সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 01:03 PM
Updated : 22 March 2020, 01:43 PM

গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন নামের একটি জোটের ব্যানারে রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় তারা।

বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া কভিড-১৯ রোগী বাংলাদেশেও শনাক্ত হওয়ার পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার, বিভিন্ন অফিস-আদালতেও কাজ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গার্মেন্টস শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঘনবসতির পরিবেশে কাজ করে বলে তারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

“একই দালানে ৫ থেকে ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের থাকার জায়গা ম্যাচ বা বাসার অবস্থাও ঘনবসতিপূর্ণ। এই অবস্থায় সাড়ে চার হাজার কারখানার ৪০ লাখ শ্রমিকের মাঝে যদি করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহতায় রূপ নেবে।”

সেরকম পরিস্থিতি হলে বিদেশিরা বাংলাদেশে তাদের সব ক্রয় আদেশ বাতিল করে দেবে আশঙ্কা করে বিবৃতিতে বলা হয়, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলতি মার্চ মাসের পূর্ণ বেতন ও যাতায়াত ভাতা দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কারখানা বন্ধ বা ছুটি ঘোষণা করতে হবে।”

বিবৃতিদাতারা হলেন- গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির তাসলিমা আক্তার লিমা, ওএসকে গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের ইয়াসিন মিয়া, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির শবনম হাফিজ, গার্মেন্টস শ্রমিক সভার সভাপতি শামসুজ্জোহা, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের বিপ্লব ভট্টাচার্য, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির মীর মোজাফফর হোসেন মোস্তাক, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এএএম ফয়েজ হোসেন।

এই দাবিতে রোববার শ্রমমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন।

এদিকে পরিস্থিতি উদ্বেগের হলেও এখনই কারখানায় ছুটি ঘোষণার সময় আসেনি বলে শনিবার শ্রমভবনে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

তবে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলছেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে তারাও চিন্তিত। কিন্তু কোন সময়ে ছুটি ঘোষণা করা যায়, সেটা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তারা আলোচনা করছেন। রোগের বিস্তার বিবেচনায় নিয়ে তারা ছুটির বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।