ঢাকার লালবাগে চাল ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনআতঙ্কের সুযোগে দাম বাড়ানোয় পুরান ঢাকার লালবাগে এক পাইকারি চাল বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2020, 09:07 AM
Updated : 21 March 2020, 09:10 AM

শনিবার দুপুরে লালবাগ কেল্লার মোড়ে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ওই ব্যবসায়ীর দোকান সিলগালা করে তাকে রোববার অধিদপ্তরের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ফেইসবুক লাইভে অভিযানটি দেখান।

অভিযান চলাকালে ষাটোর্ধ্ব এক নারী অভিযোগ করেন, তার কাছে বিশ্বাস ব্রান্ডের একটি মিনিকেট চালের বস্তা ২৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসে দেশে একজনের মৃত্যুর পর জনসমাগমের মতো অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় ‘লকডাউনের’ আতঙ্কে বাজারে চলছে অস্থিরতা।

অনেকে নিত্যপণ্য মজুদের উদ্দেশ্যে বেশি কিনতে থাকায় সুযোগ বুঝে দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা এজন্য দুষছেন পাইকারদের।

লালবাগের ওই দোকানি ২৫৫০ টাকা দরে ওই চাল কিনেছিলেন বলে দাবি করলেও এর পক্ষে তিনি কোনো ভাউচার দেখাতে পারেননি ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানকারী দলকে।

চালের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ার পর মিলগেট থেকে সর্বোচ্চ ২৪০০ টাকায় সবচেয়ে প্রচলিত রশিদ ব্রান্ডের চাল বিক্রি হচ্ছিল। সাধারণত অন্যান্য ব্র্যান্ডের চালগুলো রশিদের চেয়ে আরো কম দামে বিক্রি হয়ে থাকে। আর ঢাকার এই ধরনের পাইকারি দোকানগুলো সরাসরি মিল থেকে চাল সংগ্রহ করে থাকে।

গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে রশিদ ব্রান্ডের মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা ২৮০০ টাকা থেকে ৩৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ওই ব্যবসায়ীসহ ওই এলাকার আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে তার কাছে। চাল বেচা-বিক্রিতে বিভিন্ন ধরনের কারসাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিনা কারণে এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি এক ধরনের ডাকাতি। আমরা আপাতত তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলাম এবং দোকানটি সিলগালা করে রাখলাম। এটি অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি একটি কড়া বার্তা।”

অধিদপ্তরের এই অভিযানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আরও কয়েকটি দোকানকে জরিমানা করা হয়।