মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দিনে ১০০০ টাকা ক্যাশ আউট ফ্রি

বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপদ ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2020, 06:41 AM
Updated : 20 March 2020, 06:50 AM

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে দিনে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে হবে।

সকল তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকের প্রতিটি শাখার ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট পয়েন্ট ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএসএফ) এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে নগদ অর্থ, ই-মানি সরবরাহের সেবা নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

“লেনদেনের স্থান যেমন- ব্যাংক, এটিএম বুথ, পিওএস এবং এজেন্ট পয়েন্টগুলো নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত ও সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।”

শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধ কেনোর ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি (পিটুপি) লেনদেনে (যে কোনো চ্যানেলে) কোনো চার্জ কাটা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এক্ষেত্রে লেনদেনের সর্বোচ্চ মাসিক সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ করা হয়েছে। অন্যান্য লেনদেন সীমা আগের মতই রাখা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুসারে, দেশের অভ্যান্তরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেইট এবং ইন্টারজার্চ রিইম্বুর্সমেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে না। এক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকার এবং মাসে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা লেনদেন সীমা প্রযোজ্য হবে।

“নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন সুবিধাযুক্ত কার্ডের এনএফসি লেনদেন সীমা তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকায় উন্নীত করা হল। এ মাধ্যমেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওুষধ বিক্রয়কারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেইট এবং ইন্টারজার্চ রিইম্বুর্সমেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে না।”

এটিএম, পিওএস, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডিভিত্তিক লেনদেন নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

নিরাপদ ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব অনুসরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।