তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব প্রকার পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ রয়েছে; মূল্যও স্বাভাবিক রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করার প্রয়োজন নেই।”
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়া এবং বাংলাদেশে ১০ রোগী শনাক্তের পর উদ্বেগ রয়েছে জনগণের মধ্যে।
এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর আতঙ্কিত মানুষের কেনার হিড়িকে বাজার থেকে স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক ও মাস্ক উধাও হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে আন্তঃদেশীয় বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ এবং চলাচল সীমিত হওয়ায় বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে গুজব রটায় অনেকেই নিত্যপণ্য মজুদ করছেন বলে খবর মিলেছে।
ঢাকার মিরপুর-১ নম্বরে চালের পাইকারি দোকান জননী রাইস এজেন্সির পরিচালক মহিউদ্দিন হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বাজারে চালের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেছে।
গত তিন দিনে চালের বেচাকেনা বলতে গেলে তিন গুণ বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি। ফলে দামও বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ২৫ থেকে ৩৫ টাকা করে বেড়ে গেছে।
এর আগে পেঁয়াজ নিয়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরে লবণ সঙ্কটের গুজবে তার দামও বেড়ে গিয়েছিল।
এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে যে কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার।