নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি অর্থে বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে।
সাতটি কোম্পানির স্যানিটাইজারের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সোমবার রাতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
>> মেসার্স এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড হ্যান্ডিরাব সল্যুশন ৫০ মিলিলিটার ৪০ টাকা ও ১০০ মিলিলিটার ৫২ টাকায় এবং ২০০ মিলিলিটার ১০০ টাকা।
>> অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) হেক্সিসল হ্যান্ড রাব (ডিসপেনসারসহ) ৫০০ মিলিলিটার ২১৫ টাকা ৬৫ পয়সা, ২৫০ মিলিলিটার (ডিসপেনসারসহ) ১৪০ টাকা ৪২ পয়সা।
হেক্সিসল হ্যান্ড রাব ২৫০ মিলিলিটার (বোতল) ১৩০ টাকা ৩৯ পয়সা, ৫০০ মিলিলিটার বোতল ১৯৬ টাকা ৩৩ পয়সা, ৫০ মিলিলিটার বোতল ৪০ টাকা ১২ পয়সা।
ক্লিনজেল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ১০ মিলিলিটার ১০ টাকায় ও ৫০ মিলিলিটার ১০০ টাকা।
>> ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যানিস্ক্রাব স্কিন ক্লিনজার ২৫০ মিলিলিটার ৩০০ টাকায়, স্যানিককর্ড জেল ছয় গ্রামের টিউব ৫০ টাকা, স্যানিটাইজার হ্যান্ড রাব ২৫০ মিলিলিটার ১৩০ টাকায়, ৫০ মিলিলিটার ৪০ টাকা।
>> জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের হ্যান্ডিওয়াশ সলিউশন ৫০ মিলিলিটারের বোতল ৪০ টাকা এবং ২৫০ মিলিলিটারের বোতল ১৩০ টাকা।
>> গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৫০ মিলিলিটারের হ্যান্ডস্কাব ২৫০ টাকা, ২৫০ মিলিলিটারের হ্যান্ডিসোল ১৩০ টাকা, ১২৫ মিলিলিটারের হ্যান্ডিসোল ৭০ টাকা ও ৫০ মিলিলিটারের হ্যান্ডিসোল ৪০ টাকা।
>> স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের জারমিসল হ্যান্ড রাব ২০০ মিলিলিটার বোতল (পাম্প ও ডিসপেনসারসহ) ১৪০ টাকা ৪২ পয়সা, জারমিসল হ্যান্ড রাব (ওয়াসারসহ) ২০০ মিলিলিটারের বোতল ১৩০ টাকা ৩৯ পয়সা ও জারমিসল হ্যান্ড রাব ৫০ মিলিলিটার বোতল ৪০ টাকা।
>> অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালসের কেভিরাব হ্যান্ড রাব ৫০ মিলিলিটারের বোতল ৪০ টাকা, ২৫০ মিলিলিটারের বোতল ১০৫ টাকা ৭২ পয়সা ও ৫০ মিলিলিটারের বোতল ৩১ টাকা ২২ পয়সা।
বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বেশি করে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রোববার বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগ পাওয়ার পর চলে স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব কেনার হিড়িক। এতে অনেক দোকানে দ্রুত পণ্য ফুরিয়ে যায়।
বিষয়টি নজরে আসার পর সোমবার হাই কোর্ট বলে, স্যানিটাইজারের দাম যাতে না বাড়ে কিংবা কেউ যাতে মজুত করতে না পারে, সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।
এরপরই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গণবিজ্ঞপ্তি এল।