সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে এই অর্থ সরাসরি পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। দেশজুড়ে বিকাশের ২ লাখ ৩০ হাজার এজেন্টের কাছ থেকে কোনো চার্জ ছাড়াই তারা এই অর্থ সহজেই উত্তোলন করতে পারবেন।
সরকার শিক্ষা খাতে ভিন্ন ভিন্ন যে উপবৃত্তি কর্মসূচিগুলো ছিলো সেগুলোকে এক করে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭৪৪ কোটি ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। ৪৯২টি উপজেলার ২৮ হাজার ৩৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই উপবৃত্তি ও টিউশন ফি পাবে।
দীপু মনি বলেন, “এখন থেকে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে উপবৃত্তির টাকা যাবে না। সরাসরি সুবিধাভোগীদের হাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। দেশ ডিজিটাল হওয়াতেই এটি সম্ভব হয়েছে।”
ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেয়া চাঁদপুর হাইমচর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আকতার বলেন, উপবৃত্তির টাকা সরাসরি তার অভিভাবকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। ফলে বাড়ির পাশে বিকাশের এজেন্টের কাছ থেকে সহজেই তা উত্তোলন করতে পারেন।
কোনো বাড়তি খরচ বা হয়রানি ছাড়াই উপবৃত্তি সংগ্রহ করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পারভিন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ও প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর, মুঃ ফজলুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামস-উল-ইসলাম, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর এবং সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির (এইচএসপি) স্কিম পরিচালকশরীফ মোর্তজা মামুন।