বাকি ১০০০ কোটি টাকা দিতে তিন মাস সময় পেল গ্রামীণফোন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 24 Feb 2020 09:44 AM BdST Updated: 24 Feb 2020 10:54 AM BdST
বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির আরও ১০০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে তিন মাস সময় পেয়েছে দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।
সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ওই সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন টাকা না দিলে বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিসের ওপর হাই কোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর হয়ে যাবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।
বিটিআরসি বলে আসছে, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। বিষয়টি আদালতে গড়ালে গ্রামীণফোনকে আপাতত দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালতের নির্দেশে প্রথম কিস্তিতে ১০০০ কোটি টাকার পে অর্ডার রোববার বিটিআরসির কাছে হস্তান্তর করে গ্রামীণফোন। টাকা পরিশোধের রশিদ সোমবার আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রথমেই তাকে বলেন, “বাকি টাকা কবে দেবেন। আমরা বলে দিচ্ছি ব্যবসা করতে দিতে, কোনো ঝামেলা না করতে।”
এ এম আমিন উদ্দিন তখন বলেন, “আমাদের ৬ মাস সময় দেন। রবি মাত্র ১২০ কোটি টাকা কিস্তিতে পরিশোধের জন্য ৬ মাস সময় পেয়েছে। আর আমরা দুই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছি।”
প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, “আর আমরা চাই বিদেশি কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করুরক। কিন্তু এদেশের নিয়ম-কানুন মেনে করুক।”
এরপর গ্রামীণফোনের আইনজীবী দুইশ কোটি করে পাঁচটি সমান কিস্তিতে বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে ৫ মাস সময় চান।
প্রধান বিচারপতি পরে বলেন, “তিন মাস সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর হয়ে যাবে।”
কয়েক দফা নোটিস দিয়ে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আদায় করতে না পেরে গতবছর গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইডথ কমিয়ে দেয় বিটিআরসি। পরে বিভিন্ন ধরনের সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।
তাতেও কাজ না হওয়ায় গতবছর ৫ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে অপারেটরকে নোটিস পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রয়োজনে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগের কথাও বলেন।
বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় গ্রামীণফোন গতবছর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।
গ্রামীণফোনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিসের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট। বিটিআরসি লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ২৪ নভেম্বর গ্রামীণ ফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেয়।
ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন (রিভিউ) করে গ্রামীণফোন, যার ওপর শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আদালত। সেই টাকা পরিশোধের পর এখন বাকি টাকা দিতে আরও তিন মাস সময় পেল গ্রামীণফোন।
-
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক হলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল
-
রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তি সহায়তায় ১০০০ কোটি টাকার তহবিল
-
ভিশন আনল ‘ফ্রোজেন রুম’
-
আইসিএমএবিতে ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করল রবি
-
ডাবরের উদ্যোগ- ‘সুরক্ষিত আমি, সুরক্ষিত আমরা’
-
মনিপুর স্কুলে ইউসিবির দুটি উপশাখা
-
তৈরি পোশাকের ক্রেতাদের সুদৃষ্টি চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
-
‘ডানো গ্রোথ শক্তি’ নিয়ে এলো আরলা
সর্বাধিক পঠিত
- শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে বার্সাকে হারিয়ে বিলবাওয়ের উৎসব
- ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুর্ঘটনায় দম্পতির মৃত্যু
- প্রিয় ৩ নম্বর হারাচ্ছেন সাকিব
- ইউভেন্তুসকে উড়িয়ে দিল ইন্টার
- রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায় ব্রিজবেন টেস্ট
- যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যপরিষদগুলো ঘিরে সশস্ত্র ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ
- তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তামিমের ডেপুটি
- ‘উদযাপন ও বিয়ের কারণে চোট’, জবাব দিলেন হাসান
- বৃষ্টি নামবে, বাড়বে শীত
- লাল কার্ড পাওয়া মেসির পাশেই কোচ