রোববার বিটিআরসি কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার তুলে দেন গ্রামীণফোনের হেড অফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত।
বিটিআরসি বলে আসছে, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাশাপাশি রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের।
এই টাকা আদায়ে প্রথম ধাপে ব্যান্ডউইডথ কমিয়ে দিয়ে এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ২২ জুলাই বিভিন্ন ধরনের সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। তাতেও কাজ না হওয়ায় গতবছর ৫ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে দুই অপারেটরকে নোটিস পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রয়োজনে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগের কথাও বলেন।
বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় গ্রামীণফোন গতবছর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।
গ্রামীণফোনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিসের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট। বিটিআরসি লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ২৪ নভেম্বর গ্রামীণ ফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেয়। সেজন্য তাদের দেওয়া হয়েছিল তিন মাস সময়, যা সোমবার শেষ হচ্ছে।
আদালতের ওই আদেশের পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমার যতটুকু মনে হয় টাকাটা তারা দিয়ে দেবে, যদি না দেয় আইন যেসব ক্ষমতা বিটিআরসিকে দিয়েছে… বিটিআরসি কখনও কোনো বেআইনি কাজ করে না, করবেও না।”
এরপর টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানায়, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০০০ কোটি টাকা তারা রোববারই পরিশোধ করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিচার ব্যবস্থার ওপর তাদের শ্রদ্ধা আছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কোম্পানি হিসেবে গ্রামীণফোন ও এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর ‘যে চাপ’ দিয়ে আসছে, সে বিষয়েও আদালত সুরক্ষা দেবে বলে তার আশা করছে।