করোনাভাইরাস: ফল আমদানিতে চীনের বিকল্পের সন্ধান

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর চীনকে বাদ রেখে অন্য দেশ থেকে ফল আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2020, 01:41 PM
Updated : 18 Feb 2020, 01:41 PM

মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফল আমদানিকারকরা একথা জানান।

কৃষিমন্ত্রীও আপাতত চীন থেকে ফল আমদানির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করেন।

চীনের ফল আমদানি না করলেও বাংলাদেশে চাহিদার কোনো সমস্যা আপাতত হচ্ছে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ ফ্রেশফ্রুট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিমুল হক ইসা সাংবাদিকদের বলেন, “চীনে নববর্ষের ছুটি চলছিল ২০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, এর আগে যেগুলো এলসি সেগুলো আসছে। বাকিগুলো তারা বন্ধ করে রেখেছে।”

প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস দেড় মাস আগে ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের জনজীবনে ঘটেছে ছন্দপতন। হুবেই প্রদেশে মানুষ ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন শহরে।

“ওরাও লেবার পাচ্ছে না এক্সপোর্ট করার জন্য, এজন্য সে ফল আসবে না,” বলেন ইসা।

এক-দুই মাস চীন থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের বাজারে সমস্যা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

আসন্ন রোজায় তার প্রভাব পড়বে কি না- প্রশ্ন করা হলে ইসা বলেন, “রোজার মধ্যে সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অন্যান্য দেশ যেমন চিলি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফল আমদানি শুরু করেছি।”

কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, “আমদানিকারকদের অনুরোধ করব, চায়না থেকে এ মুহুর্তে ফল আমদানিতে ডিসকারেজ করব, যদিও ফলের মাধ্যমে এ ভাইরাস আসে না।”

চীন থেকে বিভিন্ন ধরনের আপেল, কমলা, নাশপাতি ও আঙুর বাংলাদেশে আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো ফল আমদানি করে, যার বড় অংশই আসে চীন থেকে।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস মসলা বা ফলের মাধ্যমে ছড়ায়- এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ফল আমদানিকারকদের সঙ্গে সভায় কৃষিমন্ত্রী আমদানি কমিয়ে রপ্তানি  বাড়ানোয় মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেন।

ফ্রেশফ্রুট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সিরাজুল ইসলাম এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা চান।  

তিনি বলেন, “দেশে প্রচুর পরিমাণে ফল উৎপাদন হচ্ছে। দেশে আম, তরমুজ প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হলেও আমদানি হচ্ছে। এসব আমদানি বন্ধ করা উচিৎ।”

কলা, লিচু, আনারসের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

এ সময় ফল রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেজিং কারখানা করার জন্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।