সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিটিআরসির তালিকাভুক্ত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, তাদের নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরারব পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার দেশের ভেতরেই মোবাইল ফোন তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুত করছে।
তবে পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রস্তুত এবং আমদানি করা মোবাইল ফোনের মধ্যে টুজি ফোনের সংখ্যাই বেশি।
হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমানে বাজারে যে হ্যান্ডসেট আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশই টুজি হ্যান্ডসেট। বাজারে চাহিদা আছে বলেই এ ফোন আমদানি হচ্ছে।”
দেশের গ্রাহকরা ভয়েস সেবায় বেশি আগ্রহী বলেই এখনো টুজি হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে আসছেন মন্তব্য করে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “এখনও অনেকে ইন্টারনেট খরচ বহন করতে পারেন না, বা সামর্থ্য নেই।”
টুজি ফোন আমদানি বা উৎপাদনে এখনই নিরুৎসাহিত করা ঠিক হবে না মন্তব্য করে মেজবাহ বলেন, “বাজারে চাহিদা থাকলে টুজি ফোন থাকবেই। কারণ বর্তমানে দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের মধ্যে চাহিদার মাত্র ২৫ শতাংশ টুজি ফোন তৈরি হচ্ছে, আর চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ স্মার্টফোন তৈরি হচ্ছে।”
বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে দেশে নয়টি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট ফোন এবং থ্রিজি বার ফোন (3G BAR Phone) সেট উৎপাদন করছে। দেশে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট তুলনামূলকভাবে কম দামেই সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
“এ কারণে টুজি বার ফোন (2G BAR Phone) উৎপাদন ও আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও তা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।”
বাংলাদশের মোবাইল ফোনের বাজারের আকার এখন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে স্মার্টফোনের বিক্রি ৩০ শতাংশ; বাকি ৭০ শতাংশ ফিচার ফোন।