প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
সোমবার সচিবালয়ে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের ই-কন্টেন্ট ও ভিডিও কন্টেন্ট নির্বাচন কর্মশালায় তিনি একথা জানান বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী চীন, ভারতসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে প্রাণিসম্পদ আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে পর্যবেক্ষণ করে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানান।
চীন থেকে ইতোমধ্যে দুই ডজনের বেশি দেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। বাংলাদেশে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কায়ও করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে।
এই অবস্থায় ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বিদেশ থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না। দেশে চাহিদানুযায়ী ডিমের পর্যাপ্ত উৎপাদন রয়েছে। এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করলে দেশের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে।”
এই কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মোট ৫৫টি (মন্ত্রণালয়ের জন্য পাঁচটি, মৎস্য বিষয়ক ২০টি এবং প্রাণিসম্পদ বিষয়ে ৩০টি) বিষয়ভিত্তিক উন্নততর ও সহজবোধ্য ই-কনটেন্ট ও ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে, সেবা গ্রহণকারীর সময় ও অর্থ সাশ্রয় ছাড়াও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।