রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পোশাক শিল্পখাতে মৌলিক পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহ বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য, সাধারণ ও আইন-এই তিন শাখার মোট ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে পোশাক শিল্পে প্রায় ৩৫ লাখ থেকে ৪২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যাদের ৬০-৮০ শতাংশই নারী। সচেতনতার অভাব, খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে জ্ঞানের স্বল্পতা এবং সীমিত আয়ের কারণে এই শিল্পে নিয়োজিত অধিকাংশ শ্রমিক পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত।
আইসিডিডিআর,বির ২০১৪ সালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, যাদের শ্রমে এই শিল্প টিকে আছে সেই নারী পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশই দীর্ঘমেয়াদি অপুষ্টির শিকার।
একই বছর আইএলও এক সমীক্ষায় জানায়, অপর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।
আয়োজকরা জানান, কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্য, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি গার্মেন্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপকদের খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে করণীয় এবং তদারকি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অবহিত করা।
শ্রম সচিব কে এম আলী আজম প্রধান অতিথি হিসাবে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
আলী আজম বলেন, “মেধা ও মননকে কাজে লাগানো ও জ্ঞানের রূপান্তরের জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আপনারা মালিক ও শ্রমিক এই উভয় পক্ষের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবেন।”