রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একটি স্টার্টআপ সিলিকন ভ্যালির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করবে। বিজয়ী পাবেন এক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সরকার ইতিমধ্যেই জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছে।
“দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য ইতিমধ্যে সরকার দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে, যাতে এসব শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে গিয়েই প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।”
তবে স্টার্টআপের জন্য তহবিল একটি চিন্তার বিষয় হলেও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তা যথাযথভাবে হয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাত থেকে এক হাজার কোটি ডলার বা দশ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
“তখন এই খাতে ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূলধনের পাঁচটি কোম্পানি তৈরি হবে।”
এই খাতের জন্য অর্থের সহজলভ্যতা দরকার হবে জানিয়ে শামীম আহসান বলেন, “ইতিমধ্যে এ খাতে অর্থায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক খুবই কম সুদে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলারের একটি ঋণ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিখাতও এগিয়ে আসছে।”
‘টাই ঢাকা’ এর প্রেসিডেন্ট রুবাবা দৌলার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ এর প্রতিষ্ঠাতা মুনির হাসান বলেন, “আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আসলে প্রতিবছর একটি পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য দেওয়া হয়। বাস্তবতার শিক্ষা দেওয়া হয় না। তাই আমরা দক্ষ জনশক্তির অভাবে পড়েছি।”
এখান থেকে বেরিয়ে প্রয়োজন ভিত্তিক পড়াশুনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, “আমাদের জনমিতির সুবিধা নিতে হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এই সুবিধার শতভাগ নিতে হলে জনশক্তি দরকার।
“বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রথম বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠানের একটি হচ্ছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এ খাতের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ব্যাপক অবদান রয়েছে।”