বিভিন্ন ‘নামী-দামি’ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় প্রতিনিধিরা এসে ক্ষেত থেকেই মরিচ কিনে নিয়ে যান বলে চাষিরা জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, “চরাঞ্চলের মরিচ গুণে-মানে আকর্ষণীয়। ফ্লেভার অনেক ভাল। স্বাদেও অতুলনীয়। উৎকট গন্ধ বা ঝাল থাকে না চরের মরিচে।”
এই মরিচ শতভাগ স্থানীয় জাতের বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার নদী-তীরবর্তী চরাঞ্চলে এখন মাঠের পর মাঠ মরিচ গাছে দুলছে কাঁচা-পাকা মরিচ। চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন জমি পরিচর্যা আর মরিচ তোলার কাজে।
ফুলছড়ি ইউনিয়নের বাঘবাড়িচর গ্রামের ৫৫ বয়সী আশরাফ মোল্লা একজন মরিচ চাষী।
আশরাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মরিচ একটি লাভজনক ফসল। অল্প খরচে বেশি লাভ পাওয়া যায়। এবার তিনি আট বিঘা জমিতে দেশি জাতের মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ চাষে প্রতিবিঘায় ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ৬০ থেকে ৬৫ মণ।
বর্তমানে প্রতিমণ কাঁচা মরিচ ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচ চাষে বেশি লাভ হয় বলে ওই এলাকার চাষিরা জানান।
খাটিয়ামারি গ্রামের গোলাপ হোসেন (৫৩) বলেন, তিনি প্রায় ছয় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তার মরিচে পাক ধরেছে। সপ্তাহে একবার মরিচ তোলেন তিনি।
চাষিরা অনেকে ফুলছড়ি হাটে নিয়ে মরিচ বিক্রি করেন। সেখান থেকে প্রাণ কোম্পানির পাইকাররা এসে মরিচ কিনে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
আবার ক্ষেত থেকেও বেচা যায়।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের আমশের আলী (৩৫) বলেন, চরের বাইরে উচু জমিতেও মরিচের ফলন ভাল হয়। এবার তিনি এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন।
কাঁচা মরিচের তুলনায় পাকা মরিচের চাহিদা ও দাম বেশি বলে তিনি জানান।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান মরিচ চাষ সম্পর্কে বলেন, জমিতে হালকা চাষ দিতে হয়। এরপর মরিচের বীজ রোপণ করতে হয় বা চারা লাগাতে হয়। পরে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নিড়ানি, সামান্য সেচ ও সার দিতে হয়। মূলত পরিচর্যা করাই আসল কাজ।