বাণিজ্য মেলায় বিক্রিতে সন্তোষ

আগের দিনের তুলনায় লোক সমাগম তুলনামূলক কম হলেও শনিবার ক্রেতা বেশি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বিভিন্ন স্টলের কর্মীরা।

মেহেরুন নাহার মেঘলাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2020, 04:29 PM
Updated : 18 Jan 2020, 04:36 PM

মাসব্যাপী এই মেলার মধ্যভাগে এসে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমে শেরেবাংলা নগরে মেলাপ্রাঙ্গণে।

শনিবার বিকালে মেলায় গিয়ে সেই তুলনায় লোক সমাগম কিছুটা কমই দেখা যায়। তবে বেশ কয়েকটি স্টলের বিক্রেতারা জানান, আগের দিন অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিক্রিটা প্রত্যাশামতো হয়নি, সেই তুলনায় এদিন তাদের বিক্রি হচ্ছে বেশি।

বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পোশাকের সমাহারে মেলায় স্টল সাজিয়েছে ‘ড্রেসলাইন’। সেখানকার বিক্রেতা মো. মবিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল দর্শনার্থীর ভিড় বেশি ছিল। এত ভিড়ে বিক্রি অতটা ভালো হয়নি, কিন্তু কালকের চেয়ে আজকে বিক্রি বেশি হয়েছে।”

তিনি জানান, শনিবার তাদের স্টলে নতুন আটটি পোশাক এসেছে। এই রকম প্রতিদিনই স্টলে নতুন নতুন পণ্য আসতে থাকে।

মেলার মূল প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকতেই বাঁ পাশে রয়েছে দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের স্টল। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি বিভিন্ন হাড়িপাতিল বিক্রি হচ্ছে এখানে।

সেখানকার বিক্রেতা মো. ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কালকের চেয়েও আজকে আমাদের ক্রেতার সংখ্যা বেশি। বিক্রিও খুব ভালো হচ্ছে।”

বিভিন্ন ধরনের পোশাক, বিশেষ করে জ্যাকেট, ব্লেজার, শার্ট, প্যান্টের সংগ্রহ রয়েছে দেশি ব্র্যান্ড ‘সারা’র স্টলে। এই স্টলের একজন বিক্রেতাও শনিবার বেশি বিক্রি হওয়ার কথা জানান।

“আমাদের মতো অন্য কোনো ব্র্যান্ড এত কম দামে পোশাক বিক্রি করে বলে মনে হয় না। আমাদের এখানে সর্বনিম্নে ৫০০ টাকার শার্টও পাওয়া যায়,” বলেন তিনি।

নারীদের তুলনায় পুরুষদের পোশাকের সংগ্রহই বেশি আছে বলেও জানান ‘সারা’-এর বিক্রয়কর্মী।

ঢাকার কল্যাণপুর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে এদিন মেলায় ঘুরতে আসেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোর।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেলায় আগে কখনও আমার আসা হয় নাই। এইবারই প্রথম এসেছি। খুব ভালো লাগছে। এখানে দেখার মতো অনেক জিনিসই আছে।”

প্রতিবার মেলায় বিদেশি পণ্যের স্টলের সংখ্যা বেশি দেখা গেলেও এবার দেশি পণ্যের স্টলের সংখ্যা কম নয় বলে জানান মো. আরমান নামে একজন দর্শনার্থী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের চেয়েও এখন স্টলের সংখ্যা অনেক বেশি এবং বিক্রেতাদের সেবাও অনেকটাই ভালো। আগের বছরগুলোতে বিদেশি বিক্রেতারা অনেক লাভ করে গেছে মেলা থেকে। এবার সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে দেশি ব্যবসায়ীরা প্রচুর পণ্য বিক্রি করছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক।”