উৎপাদনে ব্যাহত হওয়ায় ভারত গত বছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে ৩০-৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে আড়াইশ টাকায় ওঠে যায়।
এরপর মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির পাশাপাশি বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম কমতে থাকে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার আশপাশে এলেও এখনও স্থিতিশীল হয়নি বাজার।
এদিকে উৎপাদন সঙ্কটে পড়ে ভারতও আমদানিতে নজর দেয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানি করা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা রাজ্য সরকার নিতে না চাওয়ায় এখন ভারত তা বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চাইছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে পেয়ে সাংবাদিকরা তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তাকে।
তিনি বলেন, “এখানে এখনও কোনো প্রপোজাল পাইনি, তাছাড়া আমাদের কনসিডারেশনেও নেই।”
যদি প্রস্তাব আসে তাহলে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না- জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, “যদি প্রস্তাব আসে তাহলে তখনকার অবস্থা দেখে বিবেচনা করব কী ধরনের প্রপোজাল। আর আমার তো নিজেরাই সরাসরি আমদানি করছি। তারপরও যদি সুইটেবল হয় দেখা যাবে। তবে আমাদের এটি এখন কনসিডারেশনে নেই।”
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত সরকার প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এখন বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চাইছে।
পুরনো খবর